শতাধিক টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও অনুষ্ঠানগুলোতে তার অজস্র শ্রোতা ও দর্শক রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস, দ্যা শিকাগো ট্রিবিউন এবং টাইম ম্যাগাজিন থেকে তাঁর কাজের প্রশংসা করা হয়েছে। তাঁর লেখা কলামগুলো পেশাদার সব দৈনিক সংবাদপত্র এবং প্রকাশনীগুলোতে গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়; রডবুক, নিউ উইমেন, সাইকোলজি টুডে, ফেন্টহাউস, কসমোপলিটান ইত্যাদি তাদের অন্যতম।
নিউইয়র্ক শহরকে কেন্দ্র করে বলতে গেলে তিনি এমন চারটি বইয়ের লেখিকা যার মধ্যে হাউ টু টক টু এনিওয়ান এবং হাউ টু মেক এনিওয়ান ফল ইন লাভ উইথ ইউ সর্বাধিক বিক্রিত বই।
তোমার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার অবিশ্বাস্য, অপরিহার্য এবং অপ্রতিরোধ্য সব কৌশল...
কারো সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময়, বিশেষ করে প্রথম চোখাচোখির মুহূর্তটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
এটাই সেই সময়, যেটাতে নিজের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে নিতে হয়। শুরুর মুহূর্তটা এজন্যও গুরুত্বপূর্ণ যে, আজীবন সে তোমার এই সময়টা মনে রাখবে, তোমার একটা প্রতিচ্ছবি সে এই মুহূর্তটার উপরে ভিত্তি করেই গড়ে নেবে। মনে রেখো, অবস্থানটা হয়তো সারা জীবনের জন্যই অটুট থাকবে।
একজন চিত্রশিল্পি খুব সহজেই দোদুল্যমান এবং দ্রুত বয়ে চলা জীবনের এসব আবেগীয় মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে পারেন। রবার্ট গ্রসম্যান (বব) নামে আমার এক বন্ধু রয়েছে, যে ফোবস, নিউজ উইক, স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড, রোলিং স্টোনসহ উত্তর আমেরিকার অন্যান্য জনপ্রিয় প্রকাশনীর হয়ে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করে থাকে। ববের চিত্রের একটি বিশেষ গুণ ছিল। সে যেসব ছবি আঁকত, ওগুলো শুধুমাত্র সমগ্র দৃশ্যপটটাই অঙ্কন করত না, বরং প্রত্যেকটা দৃশ্যপট বিস্তারিত ফুটিয়ে তুলে আনত। ওর ছবি আঁকার স্কেচ বোর্ড থেকে সব সময় আলোর ঝলকানি ভেসে আসত। ববের চিত্রে যেসব লোকপ্রিয় ব্যক্তির ছবি দেখা যেত, মনে হতো তাঁরা সবাই যেন নিজস্ব স্বতন্ত্রতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যেমন- 'মেডোন্না'-এর অগ্নিমূর্তি, 'নিউট গ্রিনরিচ'-এর স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা লিওনেল হেলমস্লেইয়ের অসভ্যতা সবই তার হাতের জাদুতে ফুটে উঠত।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বব, দুষ্টুমি করতে পছন্দ করত। খাবার পরিবেশনকৃত রুমালে টুক করে কোনো এক অতিথির ছবি এঁকে বসতো সে! জট লেগে যেত ববের আশপাশে, অনেকেই আবিষ্কার করত, তাদেরই পরিচিত বন্ধুর ছবি ওর হাতের রুমালে জ্বলজ্বল করছে! এ যেন চোখকে বিশ্বাস করানোর মতো নয়। ছবি আঁকা শেষ হলে বব ছবিটি কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিত। কিছু উৎসাহী জনতা চোখ বড় বড় করে অঙ্কিত ছবির সাথে বাস্তবের ব্যক্তির মিল খুঁজে ফিরে।
নিজের ছবি দেখে সবাই যে খুশিতে আটখানা হতো, ওরকম বলার উপায় নেই। কেউ কেউ হালকা নরম সুরে বলত, 'বাহ! বেশ এঁকেছেন। কিন্তু ছবির ব্যক্তিটি পুরোপুরি আমার মতো হয়নি।'
ভাষান্তর: এ. এস, এম, রাহাত
প্রকাশক: মো. আবদুল হাকিম
চতুর্থ মুদ্রণ: জুলাই ২০২২ খ্রি.
তৃতীয় মুদ্রণ: মার্চ ২০২২ খ্রি.
দ্বিতীয় মুদ্রণ: সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রি.
প্রথম প্রকাশ: আগস্ট ২০২১ খ্রি.
গ্রন্থস্বত্বঃ অনুবাদক
প্রচ্ছদ: পাবলো আহান